6/recent/ticker-posts

জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ভোলার ইলিশা ফেরীঘাট


গোপাল চন্দ্র দে,ভোলা ॥

জোয়ারের পূর্নিমার সৃষ্ট জোর প্রভাবে পানিতে ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ভোলা অংশে ইলিশা ফেরীঘাটে নদী ভাঙন সহ ফেরীঘাটে যানবাহন উঠা-নামা করতে মারাতœক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ফেরীঘাটের যার্ম ও  এপ্রেস সড়কে ২/৩ ফুট পানির কারনে যানবাহ পারাপার হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে।  অন্যদিকে এ রুটে ৩টি ফেরী চলাচল করলেও উভয় পাড়ে যানবাহনের সৃষ্টি হয়েছে।
রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ভোলা অংশে ৫০টি এবং লক্ষীপুর অংশে শতাধিক ৯০টি মত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন এ রুটের পরিবহন শ্রমিক, মালিক ও যাত্রীরা।
শুক্রবার ফেরী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ইলিশা ফেরী ঘাট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এতে ফেরীর পল্টুনের র্যাম ও এপ্রেস সড়কে ২/৩ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় ঘাট থেকে পন্যবাহী ট্রাক উঠা-নামা করতে হচ্ছে। ভারী যানবাহনগুলো অনেকটা ঝুকি নিয়ে পার হচ্ছে।

ঘাটের শ্রমিকারা জানান, গত তিনদিন ধরে জোয়ারের পানিতে ঘাট তলিয়ে যাচ্ছে। ঘাটটি আরো উচু হলে যানবাহন চলাচলে এমন সমস্যায় পড়তে হতো না।
ফেরী কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোলার সাথে দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হচ্ছে ভোলা-লক্ষীপুর ফেরী সার্ভিস। এ  রুটে বর্তমানে কৃষানি, কুসুম কলি এবং কনচাঁপা নামে ৩টি ফেরী চলাচল করছে।  ঈদ মৌসুমে গন পরিবহন এবং পন্যবাহী যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উভয় পাড়ে যানবাহ আটকে আছে।
তবে চাদপুর-সৈয়দপুর রুটে সমস্যা থাকায় খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের পরিবহনগুলো ভোলা-লক্ষীপুর রুট দিয়ে আসা যাওয়ায় করায় যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। তবে এসব যানবাহনের দীর্ঘ লাইন ছাড়াও পানি সমস্যায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ফেরী ঘাটের ইনচার্জ বলেন, তিনদিন ধরে  পানির সমস্যা হচ্ছে, তবে যে পরিমান পানি উঠছে তাতে যানবাহন উঠা-নামায় তেমন সমস্যা হচ্ছে না। দৈনিক ৬টি ট্রিপ দিয়ে যানবাহন কমানোর চেষ্টা করছি আমরা।

Post a Comment

0 Comments