6/recent/ticker-posts

অতি বৃষ্টির পানিতে ধনিয়া ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম প্লাবিত ॥ জনদুর্ভোগ চরমে


ভোলা:
বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার ফলে ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলী জমি, মাছের ঘের, পুকুর ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে একাধিক ঘর বাড়ি। এর ফলে ওই গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পান্দিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গতকাল ২৪ জুলাই এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে এলাকাবাসী একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভোলা পৌরসভার সামনে এসে জড়ো হয়। এসময় তারা পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোহা: মনিরুজ্জামানের কাছে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। এসময় পৌর মেয়র মোহা: মনিরুজ্জামান এলাকাবাসীকে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
সূত্রে জানা গেছে, ভোলা শহরের টাউন স্কুলের মাঠ সংলগ্ন ও ভদ্রপাড়া এলাকায় ভোলা খালের উপর বাধ দিয়ে ব্রীজ নির্মান কাজ চলছে। এর ফলে ধনিয়া ইউনিয়নের ছোট আলগী, গুলী, নাছির মাঝি, কালাসুরা গ্রাম অতিবৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়। ওইসব এলাকার পানি নিস্কাশনের একমাত্র মাধ্যমটি বন্ধ হওয়ায় ইউনিয়নের কয়েক শত একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মাছের ঘের, পুকুর ও রাস্তাঘাট। এছাড়াও এলাকার শত শত ঘরবাড়ী প্লাবিত হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ওই ৪ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। তবে পানি নিস্কাশনের জন্য বাধের ওই স্থান দিয়ে চিকন পাইপ দেওয়া হয়। সেটি দিয়েও পানি নিস্কাশন কাভার হচ্ছে না। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও কেউ কোন কর্নপাত করছেন না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। গতকাল ২৪ জুলাই এলাকাবাসী বিষয়টি সমাধানের জন্য একটি মিছিল নিয়ে ভোলা পৌরসভার সামনে এসে জড়ো হয়। তারা পানি নিস্কারশনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোহা: মনিরুজ্জামানের কাছে দাবী জানান। পৌর মেয়র মোহা: মনিরুজ্জামান তাদেরকে দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বাস দেন।
আলগী গ্রামের শাহে আলম, মোঃ জামাল বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে আলগী গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে ফসলি জমি ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ওই গ্রামের মাছ চাষী মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনরে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে আমার মাছের ঘের ডুবে গেছে। এতে আমার কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এই পানি যদি দ্রুত নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে আমাদের আরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবী জানাচ্ছি।

Post a Comment

0 Comments