6/recent/ticker-posts

ভোলায় “জ্বীনের বাদশা” তৎপরতা ঠেকাতে কঠোর নজরদাড়িতে-ভোলা জেলা পুলিশ



আল-আমিন এম তাওহীদ, ভোলা: 


ভোলার আনাছে কানাছে ইদানিং বাড়ছে জ্বীনের বাদশাদের প্রতারতা। প্রতারনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গভীর রাতে ঘুমন্ত সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিয়ে ভয়ংকর রুপ ধারণ করে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জনগণের নিরাপত্তার জন্য সকল ব্যবহৃত মোবাইল সিম এ বায়োমেট্রিক পদ্ধতি করায় কিছু সন্ত্রাস, প্রতারক দমন হয়েছে। তবে সমাজের কিছু প্রতারক ও অসাধু ব্যবসায়ীরা এর ফাকেঁ মিথ্যা ভোটার আইডি কার্ড বানিয়ে মিথ্যা বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করে এসকল সিম দিয়ে ভুয়া জ্বিনের বাদশা সেঁজে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। এসকল অপরাধীদের দমন করতে মাঠ পর্যায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করছে পুলিশ প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোকতার হোসেনের নেতৃত্বে ভোলা জেলার বিভিন্ন স্থানের ঐসকল প্রতারকেরা প্রতিদিন দেখা যায় পুলিশের খেচাঁয় বন্দি।
গত ২০১০ সালে ফেনী জেলার সোনাগাজি উপজেলা উত্তর চর মজলিশ গ্রামের বাসিন্দা সেীদি প্রবাসি জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ফ্লাট দেয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে। ৭৫লক্ষ টাকা প্রতারনা করে হাতিয়ে নেয়। ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ফুলকাচিয়া গ্রামের বড় একটি জ্বীনের বাদশা প্রতারক চক্রটি। গত ২১জুন ২০১৭ইং তারিখ ভোলা বোরহানউদ্দিন থানায় রওশন আরা বেগম বাদী  হয়ে ৫জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে। যাহার মামলা নম্বর (২৩) /২০১৭ইং। উক্ত মামলার আসামিরা হলেন, মোঃ রিয়াজ, মোঃ কামাল, মোঃ রফিক, মোঃ লোকমানসহ আরো অজ্ঞাত নামা কয়েকজন সাং ফুলকাচিয়া। এরইমধ্যে ভোলা লামোহন সার্কেল এএসপি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে, ভোলার বোরহানউদ্দিনে ফুলকাচিয়া এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে জ্বীনের বাদশা রিয়াজকে আটক করেন। আটককৃতদের মধ্যে রিয়াজ নামের জ্বীনের বাদশা আসামিকে ভোলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এনে জিজ্ঞেসাবাদ করলে প্রতারনা করে হাতিয়ে নেয় টাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলে জানা যায়। পুলিশ সুপারের জোর তৎপরতায় প্রতারক চক্রকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ২৩জুলাই রবিবার ভোলা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলনায়তনে বিকাল ৪টার সময় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভুক্তভুগীদের কাছে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেন ৩লক্ষ টাকা হস্তান্তর করেন। বাকি টাকা উদ্ধারে জোর তৎপরতা রয়েছে পুলিশের।
এবিষয়ে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেন বলেন, জ্বীনের বাদশা প্রতারনা করে যে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে টাকা থেকে ৩লাক্ষ উদ্ধার করেছি। ইতিমধ্যে এবং তা ভুক্তভুগীদের নিকট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারে পুলিশের চেষ্টা চলছে। জ্বীনের বাদশা, প্রতারণা চক্র, মাদক,সস্ত্রাস, ইভটিজিং দমনে ভোলা জেলা পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

Post a Comment

0 Comments