6/recent/ticker-posts

ভোলায় ইউনিসেফ ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের টিমের কিশোরী ক্লাব ও স্কুল পরির্দশন


আদিল হোসেন তপু॥
বাংলাদেশ সরকার এর উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ও ইউনিসেফ এর প্রতিনিধি দল এক দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ভোলায় এসেছেন। বুধবার (২৩ আগষ্ট) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত  পর্যবেক্ষক টিম  ভোলাতে  বাংলাদেশ সরকার এর জিওভি ফান্ড ও ইউনিসেফে বাংলাদেশ এর যৌথ ভাবে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন।
এসময় তারা  ভোলা জেলায় ইউনিসেফের অর্থায়নে কোস্ট ট্রাস্ট্রে বাস্তবায়নে  বাল্য বিবাহ নিরোধে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজক্রম পরিদর্শনে যান। এর পাশাপাশি  সরকারি ভাবে পরিচালিত  বেশ কিছুকার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরে বিকালে প্রতিনিধি দলটি  ভোলা ত্যাগ করেন। বাংলাদেশ সরকারের  বাস্তবায়ন পরিবিক্ষন মূল্যায়ন ( শিক্ষা ও সামাজিক) বিভাগের মহা-পরিচালক নাসিমা  মহসিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- সরকারের একই বিভাগের পরিচালক মো: মজিব-উল ফেরদৌউস, জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি মন্ত্রনালয়ের পরিচালক  এবিএম মুজাহারুল ইসলাম সহ ইউনিসেফ বাংলাদেশ  এর ডেপুটি রিপেজেন্টটিভ শিমা সেন গুপ্ত, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর ফাইন্সেস ম্যানেজার আলী ওমর হোসাইন, বরিশাল বিভাগীয় প্রধান এএইচ তৌফিক আহমেদ, ইউনিসেফ এর চাইন্ড প্রটেকশন অফিসার মোমেনুন নেছা শিখা,ইউনিসেফ প্লানিং অফিসার আল-মমিন, বরিশাল বিভাগের শিক্ষা অফিসার রোকেয়া মনজুর সহ কোস্টট্রাস্টের প্রকল্প সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান,সহকারি প্রকল্প সমন্বয়কারী দেবাশীষ, ইউনিয়ন সমন্বয়কারী আদিল হোসেন তপু প্রমুখ।



২৩ অাগস্ট বুধবার  দুপুরে ইউনিসেফ এর সহায়তায় কোষ্ট ট্রাস্ট এর বাস্তবায়নে প্রতিনিধি দলটি  ভোলা  সদর উপজেলার  নিজাম উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন ।  এ সময় তারা এই  বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক,ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলেন। পরে শিক্ষার্থীদের তৈরী দেয়ালিকা কার্যক্রম দেখেন।পরে তারা কাচিয়া ইউনিয়নের কিশোরী ক্লাব “রুহিতা ’’ এর কার্যক্রম পরিদর্শনে যান এবং কিশোরী ক্লাবের  বিভিন্ন কান্ড নিয়ে কথা বলেন।

এসময় কিশোরী ক্লাবের প্রতিনিধি রাবেয়া, রিতু, লিজা,রিমা,তানিয়া সহ  আনোকে  জানায়, আমার কিশোরী ক্লাবে  বাল্য বিবাহ  রোধে কিশোরীদের উদ্ধুদ্ধ করন, আয়রন টেবলেট, জীবন দক্ষতা,জন্ম-নিবন্ধন করানো সহ নানান বিষয় প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেন।
এসময় প্রতিনিধি দল বলেন,বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। এর ফলে মাতৃমিত্যু ও শিশু মৃত্যু হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।  ফলে অনেক শিক্ষার্থীরা স্কুল থেকে শিশুরা ঝড়ে পরছে।
 তারা আরো বলেন, শিশু বিবাহ পরিবার দেশ, সমাজ ও জাতির জন্য অভিশাপ। কোন অবস্থাতেই মেয়েদের ১৮ বছর আগে এবং ছেলেদের ২১ বছর আগে বিয়ে দেয়া যাবে না।
আর  কেউ যদি বিবাহের ব্যবস্থা করে থাকে তার শিশু বিবাহ আইনে তার  শাস্তি  পেতে হবে। এর জন্য আমাদের সকল কিশোরীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাল্য বিবাহ কে ‘না’বলতে হবে। সামাজিক প্রতিরোধের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ বন্ধ করার আহবান জানায়।


Post a Comment

0 Comments