6/recent/ticker-posts

লালমোহনে পথসভায় বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ : বিএনপি যত প্রস্তাব দেক তাদের কোনো প্রস্তাবই বাস্তবসম্মত না


ভোলা টুডে ডেস্ক:
লালমোহন লঞ্চঘাট খালের উপর গার্ডার ব্রীজ নির্মান কাজের শুভ উদ্ভোধন শেষে ৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় লালমোহন চৌরাস্তার মোড়ে বিশাল পথসভায় বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপি যত প্রস্তাব দেক তাদের কোনো প্রস্তাবই বাস্তব সম্মত না। তারা নির্বাচনকে বানচাল অথবা বিতারিত করার চেষ্টা করছে। সহায়ক সরকার বলে কোনো সরকার পৃথিবীর কোনো দেশের সংবিধানে নেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বচন না করে বিএনপি যে ভুল করেছে, সে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী নির্বচনে তারা অংশগ্রহন করবে। তার কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, গত বিএনপির জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের পর লালমোহন তজুমদ্দিনে তৎকালীন সংসদ মেজর হাফিজের নেতৃত্বে তার নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে ঘর বাড়ী ছাড়া করেছেন, চাঁদা নিয়েছেন, মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছেন, আমার উপর হামলা হয়েছে, আমাকে ষড়যন্ত্র করে ভোট বানছাল করে হারিয়েছে। আমি কিন্তু ভোটে হারিনি, ২০০৩ সালে নাসরিন লঞ্চ দূর্ঘটনায় নিহত পরিবারের সহযোগীতা করতে আসলে লালমোহন উত্তর বাজার মসজিদের সামনে আমার উপর হামলা করে। গজারিয়ার মালেক আওয়ামী লীগ করার অপরাধে তার চোখ উপড়ে ফেলে। সে সকল নেতাকর্মীর পাশে শাওন এসে দাড়িয়ে লালমোহন তজুমদ্দিনের আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করেছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্ভোধক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন এই সময় তিনি বলেন, লালমোহন-তজুমদ্দিনে এমপি শাওন যে পথ সভার আয়োজন করেছে আমি বলব এটা পথ সভা নয়, এটা জনসভা, লাখো মানুষের ঢলে প্রমান করে লালমোহনের মানুষ নৌকা ও শাওনকে ভালবেসে সাড়া দিয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমিও তোফায়েল আহম্মেদ জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে শাওনের জনপ্রিয়তার কথা বললে অবশ্যই সে নমিনেশন পাবে বলে আমি আশা করি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লালমোহন তজুমদ্দিনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এই সভায় এমপি শাওন বলেন আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল উপ-নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রতিনিধি হিসেবে এখানে পাঠান। ২৪ এপ্রিল উপ-নির্বাচনে নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হই। আমি নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে লালমোহন তজুমদ্দিন ছিল সন্ত্রাসের জনপথ আমি এই এলাকাকে শান্তির জনপথে রূপান্তর করি। লালমোহন তজুমদ্দিকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছি। আমার পূর্বে যে মন্ত্রী ছিল সে পানি সম্পদ মন্ত্রী থাকা কালীন লালমোহন তজুমদ্দিনকে নদী ভাঙ্গন রোধ করতে পারিনি। আর আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লালমোহন তজুমদ্দিনের নদী ভাঙ্গন রোধ প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে যার কাজ চলমান। আরো ৭ কোটি টাকা প্রকল্প উন্নয়নের জন্য একনেকের সভায় পাসের অপেক্ষায় আছে। লালমোহন তজুমদ্দিনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নৌকার টিকেট দিলে আমি ইনশআল্লাহ নৌকা প্রতীককে জয় করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারব।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা ড. সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু, ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি। এসময় ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন, লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন, পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারন সম্পাদক দিদারুল ইসলাম অরুন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাদল সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Post a Comment

0 Comments