6/recent/ticker-posts

ভোলায় ৫৫ মাদকসেবীর আত্মসমর্পণ, স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অঙ্গীকার


আদিল হোসেন তপু॥
ভোলায় ৫৫ মাদকসেবী আজ ১৮ অক্টোবর (বুধবার) বিকেলে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা আর মাদক সেবন করবেননা। এখন থেকে মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসারও অঙ্গীকার করেছেন। আত্মসমর্পনকারীদের মধ্যে রয়েছেন ভোলা সদর মডেল থানায় ১৪ জন, বোরহানউদ্দিন থানায় ৮ জন, দৌলতখান থানায় ৪ জন, লালমোহন থানায় ৪ জন, তজুমদ্দিন থানায় ৪ জন, মনপুরা থানায় ২ জন, চরফ্যাশন থানায় ১১ জন, দক্ষিণ আইচা থানায় ৪ জন ও শশিভূষন থানায় ৪ জন।


এ উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে ভোলা শহরের বাংলাস্কুল মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা পুলিশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি রফিকুল ইসলাম। গেস্ট অব অনার ছিলেন ভোলা জেলা ও দায়রা জজ ফেরসাউস আহমেদ। পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন, কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোসায়েদ (ট্যাজ), পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকীব, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউনুছ, প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, দুলাল চন্দ্র ঘোষ, এম এ তাহের, সফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

আত্মসমর্পণকারী মাদকসেবীদের মধ্যে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘের হাওলা গ্রামের মাদকসেবী আলাউদ্দিন (৪৫) জানান, তিনি গত প্রায় ২ বছর আগে কিছু গাঁজা ও জাল টাকাসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। তিনি এখন দিন মজুরির কাজ করেন।
লালমোহন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সালাউদ্দিন (২৭) জানান, গত প্রায় ১ বছর আগে ২ পিচ ইয়াবাসহ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে তিনিও জামিনে রয়েছেন। তিনি মাদক ছেড়ে এখন রাজমিস্ত্রীর কাজ করছেন।

একই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদুল ইসলাম শহিদ (৪০) জানান, তিনি গত প্রায় ১ বছর আগে ৭ পিচ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়। বর্তমানে তিনিও জামিনে রয়েছেন। তিনি এখন দিন মজুরির কাজ করছেন। তারা মাদক ছেড়ে বিভিন্ন কাজ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। আলমগীর, সালাউদ্দিন ও শহিদের মত ৫৫ জন মাদকসেবী মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেন। আত্মসমর্পণকারী ৫৫ মাদকসেবীদের হাতে রজনীগন্ধা ফুলের স্টিক তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠান শেষে তাদের হাতে সেলাই মেশিন ও গ্যাসের চুলাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি তুলে দেওয়া হয়। আত্মসমর্পণকারী মাদকসেবীদেরকে কর্মসংস্থানের জন্য পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, শিল্পপতি ও সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ এ সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করেন।

Post a Comment

0 Comments