6/recent/ticker-posts

এক বছরের মধ্যে প্রবাহ ফিরে পাচ্ছে ভোলার ৬ খাল



আদিল হোসেন তপু॥ 
দীর্ঘদিন ধরে ভোলার শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালগুলো খনন না করার কারনে দিন দিন ভরাট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই খালগুলোকে খনন করে পুনরায় প্রবাহমান করতে ভোলা পৌরষভার উদ্যোগে নিয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ভোলা পৌরসভার হল রুমে গত ২৭ এপ্রিল মধ্য রাতে শহরে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন ও ভোলা খাল পুনরুজ্জীবিত করণ প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলন পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, গত ২৭ এপ্রিল মধ্যরাতে আগুন লেগে শহরের চকবাজার, মনিহারিপট্টি এবং খালপাড় রোডের অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে ব্যবসায়ীদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু খালে অত্যাধিক ময়লা আবর্জনা আর পলিথিন থাকায় পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদেরকে।
এছাড়াও স্বাভাবিক পানি প্রবাহ না থাকায় এবং দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনা ফেলায় ভোলা খালটি পানি শূন্য হয়ে আছে।

আগুন লাগার ঘটনায় অনেকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলরে জন্য এটি নিয়ে ভোলা পৌরসভাকে দায়ী করেছেন। কিন্তু পৌরসভা এব্যাপারে দায়ী নন। পূর্বে যারা পৌরসভার মেয়র ছিলেন তারাই মূলত ভোলা খালটিকে সংকীর্ন করে ফেলেছে। আমি সেখান থেকে এটিকে পুনরুদ্ধার করে নতুনভাবে প্রবাহ সৃষ্টি করার পরিকল্পনা গ্রহন করি।
ইতোমধ্যে ভোলা পৌরসভার উদ্যোগে এই খালটি খনন কাজ শুরু করা সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
আগামী এক বছরের মধ্যে ভোলা খালসহ পৌরসভার অন্তর্গত আরও চারটি খাল খনন করে এগুলোতে পানি প্রবাহ চালু ও দুই পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মান করে এগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করা হবে।

তিনি আরও জানান, ভোলা খালের সাড়ে ১১ কিলোমিটারের মধ্যে মধ্যবর্তী সাড়ে ৪ কিলোমিটার পৌরসভার তত্ত্বধানে রয়েছে। খালের বাকি অংশ পানিউন্নয়ন বোর্ডের অধিনে রয়েছে। পৌরসভার অধীনে ভোলা খালের যে অংশটুকু রয়েছে তা রক্ষাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য জলবায়ু ফান্ডের একটি প্রকল্পের আওতায় ৫ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ভোলা পৌরসভার মধ্যে আরও ৪টি খাল পূনরুজ্জীবিত করার লক্ষে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যে এসব কাজ শেষ হলে ভোলা পৌরসভার আওতায় থাকা সকল খাল নাব্যতা ফিরে পাবে। আর তখন আগুন লাগার মত দুর্যোগ মোকাবেলা সহজতর হবে।

অপর দিকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ভোলা পৌরসভার ঘর নির্মানের প্লানের সরকারি খরচ মওকুফ ও কোনো ব্যবসায়ী চাইলে পৌরসভার উদ্যোগে যৌথভাবে ঘর নির্মানেরও ঘোষাণা দেন পৌর মেয়র। পাশাপাশি তিনি ভোলা শহরের প্রতি দোকানে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র রাখার আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলন ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জমিস উদ্দিন আরজু পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সামনে খালগুলোর পূর্বের ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার দোস্ত মাহমুদ, ডেপুটি কমান্ডর মো. শফিকুল ইসলাম, ভোলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক আবু তাহের, দৈনিক বাংলার কণ্ঠের সম্পাদক ও ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামস উল আলম মিঠু, পৌরসভার সচিব আবুল কালাম আজাদসহ ভোলা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Post a Comment

0 Comments