6/recent/ticker-posts

ভোলা-বরিশাল রুটে দীর্ঘ জট


বিশেষ প্রতিনিধি ॥
যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে ভোলা-বরিশাল রুটের একটি ফেরী বিকল হয়ে পড়ায় উভয় পাড়ে সৃষ্টি হয়ে তীব্র যানজটের। এতে দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা। ফেরী বিকল থাকায় জেলার সাথে সড়ক পথে বরিশালসহ দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের পন্য পরিবহন ও যোগাযোগ মারাতœক বিঘেœর সৃষ্টি হচ্ছে।



এদিকে ঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও ফেরীর সিরিয়াল পাচ্ছেন না ট্রাক চালকরা । এমনকি সিরিয়াল পেতে কারো পুরো দিনও কেটে যাচ্ছে। নির্ধারিত সময় পৌছতে না পারলে কাচামাল নষ্ট হয়ে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। শনিবার (৩১ মে) সন্ধা পর্যন্ত ভেদুরিয়া ঘাটে শতাধিক এবং লাহারহাট ঘাটে ৮০টি পন্যবাহিনী পরিবহন অপেক্ষমান ছিলো। ঈদকে সামনে রেখে হঠাৎ করেই ফেরী বিকল হয়ে পড়ায় ব্যবাসয়ীদেও বড় ধরনের লোকসানের আশংকা করা হচ্ছে। 
সুত্র জানায়, ভোলা-বরিশাল সড়ক পথের তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া-লাহারহাট রুটে প্রতিদিন কৃষ্ণচুড়া, অপরিজিতা ও দোলনচাপা নামের ৩টি ফেরী চলাচল করে আসছে।

কিন্তু গত শুক্রবার (২৫ মে) সকালে হঠাৎ করেই দোলনচাপা নামের একটি ফেরী একটি ট্রিপ দেয়ার পর যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বিকল হয়ে পড়ে। এতে তিনটির ফেরীর যানবাহন দুটি ফেরী দিয়ে পারাপার করেও লাইনজট কমানো সম্ভব হচ্ছে না। উভয় পাড়ে আটকা পড়ে আছে অন্তত দেড় শতাধিক পরিবহন।

ভেদুরিয়া ফেরীঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, পারাপারের অপেক্ষায় প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। পন্যবাহিনী এসব পরিবহনে ধান, চাল, কাঠ, বিস্কুট, গ্যাস, সিমেন্ট ও ছোট মাচের পোনা বোঝাই। এদের মধ্যে কেউ একদিন আগে কেউ ৫ ঘন্টা আগে কেউবা ১২ ঘন্টা ধরে পারাপারে অপেক্ষায় আছেন, কিন্তু লাইনজটের কারনে কেউ গন্তব্যে যেতে পারছেন না।

অপেক্ষারত ট্রাক চালক হেলাল উদ্দিন বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ে থেকে এসেছি বরিশাল যাবো, কিন্তু ৩দিনেও গন্তব্যে যেতে পারছিনা।

লালমোহন থেকে ধান বোঝাই করে করে আসা ট্রাক চালক রবিউল ও আবদুর রহমান বলেন, ধান নিয়ে ঝিনাইদাহ যাবো, কিন্তু যেতে না পারায় চরম দুর্ভোগে রয়েছি, ওদিকে সময় মত যেতে না পারলে ধানের পছন ধরবে।
ট্রাক চালক সুমন, বেলাল ও আলতাফ হোসেন মালবাহী ট্রাক নিয়ে কেউ চুয়াডাঙ্গা কেউবা বরিশাল যাবেন। তাদের পরিবহনে ছোট মাছ, বিস্কুট ও ভুট্রা রয়েছে।

তারা অভিযোগ করেন,  ঘাটের এসে দেখি ফেরী নষ্ট, ৩দিন ধরে ঘাটে অপক্ষোয় রয়েছেন কবে ফিরবেন তা জানেননা। যদি রাতেও ফেরী সার্ভিস দেয়া হতো তাহলে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ফেরীর ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, একটি ফেরী নষ্ট হওয়ায় কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, দ্রুত বিকল ফেরী মেরামতের চেষ্টা চলছে।



Post a Comment

0 Comments