গোপাল চন্দ্র দে ॥
ভোলার মানুষের কাছে অবসর সময় পার করার জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে এখন বাঘমারা ব্রিজ।প্রকৃতির কাছাকাছি এসে একটু খোলা বাতাস উপভোগ করতে কার না মন চায়? কিন্তু এ স্বাধপূরন শহরে সম্ভব নয় শহরে শুধু ব্যাস্ততা ভরা জীবন আর গাড়ির ভিড়। কোথাও একদন্ড দাড়িয়ে যে প্রানভরে প্রকৃতির কাছাকাছি এসে সময় কাটাবে উপভোগ করবে একা, পরিবার, প্রিয়জনকে নিয়ে তার ব্যাবস্থা খুব কম।
শহরে ভোলা পৌরসভা নানা যায়গায় তৈরী করেছে মানুষের হাটা ও ফোয়ারা এছাড়া ধনিয়া তুলাতুলি এলাকায় ব্যাক্তিগত উদ্দ্যেগে তৈরী হয়েছে ধনিয়া রিভার ভিউ রিসোর্ট সেন্টার, এবং শহর হতে কিছু দূরে রয়েছে খেয়াঘাট ও শান্তির হাট ব্রিজ ভোলার সৌন্দর্য প্রিয় দর্শনার্থীরা এসকল স্থানেই তৈরীকৃত সৌন্দর্য বর্ধনকৃত স্থান, রিভার ভিউ সেন্টারে ও খেয়াঘাট ও শান্তিরহাট ব্রিজে যেকোন ইভেন্টে অবসর সময় কাটাতো।
তবে বাঘমারা ব্রিজ তৈরীর পর থেকে এর নির্মান সৃজনশীলতা, সৌন্দর্য, নির্মল পরিবেশ ও ইচ্ছেমত ঘোরাফেরা করার সুবিধার কারনে এখন ভোলার মানুষের ঘোরাফেরা ও সময় কাটানোর প্রথম পছন্দ বাঘমারা ব্রিজ। ছুটির দিন হোক, বিশেষ কোন দিবস বা এমনি ঘোরাফেরা করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই অঢেল মানুষের সমাগম হয় এ বাঘমারা ব্রিজে।
বন্ধুদের কাছ থেকে বাঘমারা ব্রিজের এত কথা শুনে, গত ১৪ এপ্রিল ঘুরতে যাই আমার সাংবাদিকতার হাতে খড়ি যে পত্রিকাহতে “দৈনিক আজকের ভোলা”র নির্বাহী সম্পাদক ও এসএটিভি নয়াদিগন্ত জেলা প্রতিনিধি এ্যড. শাহাদাত শাহিন ও আজকের ভোলার সহযোগী সম্পাদক বড়ভাই শাহরিয়ার ঝিলনের আয়োজনে ঘোরাফেরা ও নৈশ ভোজ এর জন্য তার ভোলার পরানগঞ্জ এলাকার গ্রামীন সমাজ কল্যান পাঠাগারের সদস্যদের সাথে ও পরিচিত কিছু মুখের সাথে ।
সদর থেকে ১০ মাইল দূরে ভোলার বাংলাবাজার দক্ষিন দিঘলদি ইউনিয়নের বটতলা হয়ে ১ ঘন্টাখানিকের জার্নি শেষে আমরা বাঘমারা ব্রিজে এসে পৌছাই।
দিনটি ছিলো ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন ভোলার প্রায় ৭-১০ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিলো ব্রিজে। মানুষ তাদের পরিবার, প্রিয়জন ও নিজে একটু একা সময় কাটানোর জন্য এসেছিল। সবাই সেখানে নিজের মত খোরাফেরা ও খেলাধুলা করে পাশের মাঠে এছাড়া প্রতিদিন মানুষের জন্য এখানে রয়েছে ট্রলার,স্প্রিডবোর্ডে ঘোরাফেরার সুবিধা।
ব্রিজের উপরে তখন সবাই ব্যাস্ত ছবি,সেলফি তুলতে আর এ ব্রিজের সৌন্দর্য সম্পর্কে সাথে আসা মানুষটিকে বলতে।
নদীর নির্মল বাতাস খোলা মাঠ আর ভ্রমন সুবিধার এসকল বন্দবস্ত দেখে অন্যদের মতো মুগ্ধ হই আমিও।
এ ব্রিজকে ঘিরে অনেকের হয়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
ঘুরতে আসা মানুষদের দর্শনার্থীরা বলেন, শহরের বাইরে প্রকৃতির নির্মল বাতাস আর ব্রিজের সৃজনী নির্মান কৌশল তাদের মুগ্ধ করে। সেজন্যই তারা অবসর সময়ও ছুটিরদিনে প্রিয়জনদের নিয়ে বা একা ঘুরতে আসে এখানে।
স্থানীয়দের জানান, প্রতিনিয়তই ভোলার দর্শনার্থীরা সময় কাটানোর জন্য এ ব্রিজে ছুটে আসে। তবে ছুটির দিনে একটু বেশীই।
0 Comments