6/recent/ticker-posts

ভোলায় রেজিষ্ট্রীবিহীন বাল্য বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে





এম শাহরিয়ার জিলন:

ভোলায় ঈদুল ফেতরের পর থেকে রেজিষ্ট্রীবিহীন বাল্যবিয়ের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।এক সপ্তাহে ৫০টির অধিক বিয়ে হয়েছে। এদের বয়স বর-১৫ থেকে ১৮ এবং কনে-১৩ থেকে ১৫ বছর।এতে মেয়ে এবং তার পরিবারের ঝুকি থেকেই যাচেছ। ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের শংকা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় আইন অনেকেই মানছেননা।
বিবাহ রেজিষ্টার (কাজি) সুত্রে জানা গেছে, ঈদের পর থেকে ভোলায় অর্ধশত বিয়ে হয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ বর-কনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক। যার কারনে কাজি বিয়ে রেজিষ্ট্রী করেননি। কিন্তু বর-কনের পরিবার রেজিষ্ট্রী ছাড়াই মৌলভী দিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিয়ে পড়ান। এসব বিয়ে নিন্ম নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে বেশী হচেছ। কিছ ুদিন অতিবাহিত হলে এসব বিয়ে নিয়ে দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা। ঘটে বিয়ে বিচেছদ। উভয় বিপদের সন্মুখিন হন।
শুক্রবার শিবপুর দারোগা বাড়ির নিকট পালকি বাড়ির আল আমিন (১৮) পিতা- ইউছুফ। রেজিষ্ট্রীবিহীন রত্তন পুরের কেরানী বাড়ির খাদিজা (১৪) কে বিয়ে দিয়েছেন। কালিকীত্তির জসিমের মেয়ে লিজা (১৪) কে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। জালাল মেম্বার বাড়ির আবু সুফিয়ানের মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন সদর রোডের ছাতা কালামের ছেলের কাছে। পশ্চিম ইলিশা ফেরী ঘাটের বাধের নিকট আইয়ুব আলী মালের বাড়ির আলী হোসেনের মেয়ে মুক্তা (১৪) কে বিয়ে দিয়েছেন জসিম নামের এক পুলিশ সদস্যের কাছে।
শিবপুরের কাজি মহিবুল্লাহ মাষ্টার জানান, ঈদের পর থেকে রেজিষ্ট্রীবিহীন বাল্যবিয়ের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রাষ্ট্রীয় আইনে বর-কনের বিয়ের বয়স না হওয়ায় কাজিরা বিয়ে রেজিষ্ট্রী করেননা। আবার অনেকে বয়স প্রমানের জন্য যে সব কাগজ নিয়ে আসেন তা অধিকাংশই ভুয়া জাল। তাই ঝুকি নিয়ে তারা রেজিষ্ট্রী করেননা। এর মধ্যে কয়েকটি ফেরত দেয়া হয়েছে। আল আমিন পিতা-ইউছুফ নামের এক জনে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিয়ে পড়িছেন। যখন জাল জন্ম সনদ ধরা পরেছে তখন তার রেজিষ্টেশন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। মুক্তার মা জানান, আমরা গ্রামের মানুষ আমাদের মেয়েদের বয়স যখন ১৩/১৪ হয় তখন বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের কোন নিরাপত্তা থাকেনা। ইজ্জতের দিকে তাকিয়ে তাই অল্প বয়সে মেয়ে বিয়ে দিয়ে দিতে হয়। প্রশাসন একটু নজর দিলে কিছু রেজিষ্ট্রীবিহীন বাল্যবিয়ে বন্ধ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সমাজ পতিরা।

Post a Comment

0 Comments