6/recent/ticker-posts

শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ভোলার কোরবানীর পশুরহাট


ভোলা টুডে রিপোর্ট ॥ 
শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ভোলার পশুরহাট। ঈদের ২দিন আগেই জেলার ৫৬টি স্থায়ী এবং ৪২টি অস্থায়ী হাট জমে ওঠায় সন্তুষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতারা। এসব হাট এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে। এবার পশুরহাটে দেশীয় গরুর ব্যপক চাহিদা থাকায় ক্রেতারা ছুটছেন সে দিকেই। হাটগুলোতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শক্ত অবস্থানও। এছাড়াও মেডিকেল টিম এবং মনিটরিং টিম কাজ করছে।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে মুখরিত এসব হাট এদিকে বছর জেলায় চাহিদার চেয়ে অনেক বেশী গুর মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রানী সম্পদ বিভাগ। তাই গরুর সংকট থাকার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।
জেলা প্রানী সম্পদ বিভাগ জানায়, বছর কোরবানীর জন্য গরু এবং ছাগল মিলিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এক লাখ হাজার ৭৭০টি। এরমধ্যে ৬০ হাজার ২২৫টি গরু এবং ৪২ হাজার ৫৫টি ছাগল রয়েছে। তবে জেলায় গরু এবং ছাগল মিলিয়ে চাহিদা ৯৭ হাজার ৯২৬টি। 



ব্যাপারে জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোহম্মদ আলমগীর  বলেন, জেলায় পর্যাপ্ত গরুর মজুদ থাকায় ইন্ডিয়া থেকে গরু আমদানির প্রয়োজন হবে না বরং জেলা থেকে থেকে চট্রগ্রাম, লক্ষিপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরু বিক্রি করা হয়। ভোলাতে ভারতীয় গরুর আমদানি নেই।
তিনি আরো জানান, হাটগুলোতে যাতে কোন ধরনের রোগাক্রান্ত গরু বিক্রি না হয় সে জন্য ৭টি মনিরটিং টিম এবং ১৯টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিম নিয়মিত গরুরহাটে নিয়োজিত থাকবে।গরুরহাট ঘুরে জানা গেছে, বিগত বছরের তুলনায় এবছর ভোলার গরুরহাটে একদিকে যেমন দেশীয় গরুর আমাদনী বেশী অন্যদিকে দামও অনেক চড়া। শুরু থেকে কেনাবেচা জমে না উঠলেও শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে বাজারগুলো। 
জেলার পরানগঞ্জ, ইলিশা, বাংলাবাজার, ঘূইংগারহাট, চরনোয়াবাদ গরুরহাট, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন মনপুরার বড় বড় গরুরহাটে এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম বেড়ে গেছে। তবে দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রয়া থাকলেও কেউ ফিরছেন না খালি হাতে।ঘুইংগাটর হাটে গরু বিক্রি করতে আসা এমরান হোসেন বলেণ, লাখ টাকা মুল্যের ২টি গরু হাটে এনেছি, একেকটির দাম উঠেছে ৭৫/৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত গড়ে ৯০ করে হলে ক্রি করবো। ক্রেতা মোসলে উদ্দিন বলেন, গরুর দাম একটু বেশী। তবুও ক্রেতারা কিনছেন। বেচা কেনা বেড়ে গেছে।ক্রেতা সিহাব উদ্দিন বলেন, গত বছরের তুলনায় দাম নাগালের বাইরে। হাটগুলোতে গরুর আমদানী অনেক বেশী। হাটে শেষ দিন পর্যন্ত কেনা-বেচা হবে।এদিকে, হাটে চাঁজাবাজি বন্ধে মোতায়েন রয়েছে পোশাকদারী সাদা পোশাকের পুলিশ। বসানো হয়ে জাল টাকা সনাক্তকরন মেশিনও।
ক্রেতা এবং বিক্রেতরা যাতে নির্ভিগ্নে গরু কেনা-বেচা করতে পারেন সে জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভোলার পুলিশ সুপার মো: মোকতার হোসেন। তিনি বলেন, গরুরহাটে তিন স্তুরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে

Post a Comment

0 Comments