6/recent/ticker-posts

ভোলায় একটি ব্রীজের অভাবে ২ হাজার মানুষের দুর্ভোগ


ভোলা টুডে রিপোর্ট॥
ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নে একটি ব্রীজের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুই পাড়ের অন্তত ২ হাজার মানুষ। ব্রীজের বিকল্প হিসাবে স্থানীয়রা একটি বাশের সাঁকো তৈরী করলেও সেখানে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা চরম ঝুকি নিয়ে সাকো পারাপার হচ্ছেন।


গত ৩০ বছর ধরে এভাবে দুর্ভোগে পড়লেও কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানান, বেশ কয়েকবার নিজেদের উদ্যোগে বাঁশ ও সুপারি গাছ দিয়ে সাকোটি নির্মান করা হয়েছে, কিন্তু সাকো দিয়ে পারাপার অনেক ঝুকিপূর্ন। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়।
সরেজমিন গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজপুর ইউনিয়নের দক্ষিন রাজাপুর গ্রাম ও জোড়াখাল মাছঘাট দুপ্রান্তের মধ্যখানে ইলিশা নদীর শাখা খাল জোড়াখাল। এ খালের উপর এলাকাবাসীর যাতায়াতের জন্য ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মান করা হয়নি। এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে প্রায় ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সাঁকো নির্মান করে যাতায়াত করছেন। কিন্তু যাতায়াত করতে গিয়ে পা ফসকে খালে পড়ে দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুরা বেশী দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। গত ২/৩ মাসে অন্তত ১০ জন স্কুল ছাত্র/ছাত্রী আহত হয়েছে। সাকোর পাশের দোকানদার মনজু বলেন, চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কোন সহযোগীতা করেছি, পাবলিকের টাকায় সাকোটি নির্মান করা হয়েছে।

ব্যবসায়ী মোতালেব বলেন, মাছ ঘাট ও রাজাপুর গ্রামের ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার অন্তত ৯/১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন এ সাকো দিয়ে যাতায়াত করে কিন্তু তাদের জন্য একটি ব্রীজ নির্মান করা হয়নি। যারফলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। আমাদের এখানকার মানুষ অবহেলিত।
ষাটার্ধ্ব বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম বলেন, ওপাড়ে  জমজমাট মাছের, আড়ৎ এবং মানুষের জনবসতি এপাড়ে স্কুল, মানুষের বসতি রয়েছে, কাজের প্রয়োজনে দুই পাড়ের মানুষ এপাড়-ওপাড় পারাপার হন কিন্তু ১০ বছরেও এখানে কোন ব্রীজ নির্মান হয়নি। সরকার আসে যায় কিন্তু ব্রীজ হয়না। এলাকাবাসী জাহের, মিজান ও নাছির বলেন, সাকোটি কয়েকবার জরিপ করা হয়েছি, কিন্তু আজো জরিপ পর্যন্তই আজো ব্রীজ হয়নি।

এলাকাবসীর অভিযোগ, সিডর আইলা ও মহাসেনসহ বিভিণœ সময় সাকোটি ভেঙ্গে গিয়েছিলো তখনও এখানকার মানুষের কথা বিবেচনা করে সাকোট মেরামত বা ব্রীজ দেয়া হয়নি। কবে ব্রীজ হবে তাও জানেনা কেউ।
স্থানীয় ৪ নং মাসুদ রানা বলেন, ৩০ বছর ধরের ইউনিয়নের ২ হাজার মানুষ একটি ব্রীজের অভাবে দুর্ভোগে আছেন, আমরা বহুবার এখানে ব্রীজ নির্মানের কথা জানিয়েছি কিন্তু আজো আমাদের দাবী পূরন হয়নি।
এ ব্যাপারে ভোলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ মুহুর্তে নতুন কোন ব্রীজের প্রকল্প নেই, ভবিষ্যতে হতে পারে।
এদিকে হাজোরো মানুষের দুর্ভোগ থেকে রক্ষায় অতিদ্রত জোড়াখালের উপর ব্রীজ নির্মানের দাবী এলাকাবাসী।

Post a Comment

0 Comments