ভোলা টুডে রিপোর্ট॥
ভোলার চরফ্যাশনে জমির মালিকানা নিয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধার দ্বন্ধ চরমে। লেগে আছে প্রতিনিয়ত সংঘাত সংঘর্ষ। জমিটি নিয়ে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মামলা। আদালত স্থিতিতাদেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে এক পক্ষ ওই জমিতে বালি ফেলে ঘর তুলছে।
তথ্যানুসন্ধানে যানা যায়, দীর্ঘ ২২ বছর আগে চরফ্যাশন পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডে সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলমের বাড়ি সংলগ্ন ২০ শতক জায়গার ক্রয় সূত্রে মালিকানা দাবী করে আসছেন ভোলা পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন বাচ্চু। ২০১৪ সালের দিকে ওই জায়গাটি তিনি একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন মিয়ার ছোট ছেলে প্রবাসী মোঃ জুয়েলের কাছে বিক্রি করেন। দীর্ঘদিন পর ওই জমি ভটার করতে গেলেই বাধা দেয় চরফ্যাশন উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মফিজুল ইসলামের বড় ছেলে হারুন অর রশিদ। এমনকি তিনি ওই জমির মালিকানা দাবী করে চরফ্যাশন আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ১০/০৮/১৭ ইং তারিখে ওই জমিতে স্থিতিতাদেশ জারি করেন। অথচ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ৬ অক্টোবর জমিতে বালি ভর্তি করে ঘর উত্তোলন করছেন চরফ্যাশন উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মফিজুল ইসলামের বড় ছেলে হারুন অর রশিদ। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কি ভাবে তিনি ঘর উত্তোলন করেছেন এমন প্রশ্নে হারুন অর রশিদ বলেন, আমার জমিতে আমি ঘর উঠাই। সেখানে আবার নিষেধাজ্ঞা কিশের।
তবে জমিটির পূর্বের মালিক ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাহী সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন বলেন, চরফ্যাশন উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মফিজুল ইসলাম তাঁর (আমিরের) চরফ্যাশনের জিন্নাগড় মৌজার কোটি টাকা মূল্যের ২০ শতক জমি দখল করে নিয়েছেন। জরিপ ও ভূমি অফিসের রায় তাঁর (আমিরের) পক্ষে গেলেও মফিজুল ইসলাম ও তার ছেলে হারুন ওই জমিতে বালু ফেলে ভরাট করছেন। এবং আদালতে মামলা করেছেন। আদালত স্থিতিতাদেশ দিলেও গত ৬ অক্টোবর শুক্রবার মফিজুল ইসলামের বড় ছেলে জমিতে ঘর তুলছেন।
এ ব্যাপারে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনামুল হক বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। যদি কোন অভিযোগ আসে, তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
0 Comments