6/recent/ticker-posts

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাছ ধরতে নদীতে ভোলার জেলেরা

সাহাদাত শাহিন ॥ 
ইলিশের অভয়াশ্রমে ২ মাসের নিশেধাজ্ঞা কাটিয়ে আজ উৎসবমুখর পরিবেশে নদীতে নামেছেন জেলেরা।
গতকাল ৩০ এপ্রিল (সোমবার) রাত ১২  টার পর (১মে) থেকে জাল, ট্রালার,নৌকাসহ ইলিশ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে এসব জেলেরা নদীতে নেমে পড়ের তারা। এরমধ্যে দিয়ে  ফের কর্মব্যস্ততা  ফিরে এসেছে তাদের মাঝে।

জমাজমাট হয়ে উঠেছে ঝিমিয়ে পড়া মাছের আড়ৎগুলো।  জেলে, পাইকার, আড়ৎদারদের হাকডাকে মুখর। ইলিশ ধরা, প্যাকেজজাত এবং পরিবহন নিয়ে  পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে বিভিন্ন উপহেলার মাছে ঘাটগুলো। নতুন করে নদীতে নামতে  পেরে  জেলেদের মাঝেও আনন্দ বিরাজ করছে।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা সময়ে  ভোলার জলসীমায় ১০০ মেট্রিক টন ঝাটকা রক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
যা থেকে প্রায় ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হবে বলেও মনে করছেন মৎস্যকর্মকর্তারা। তারা বলছে, ইলিশ অভিযান অন্য বছরের তুলনায় সফল।

সুত্র বলছে, ইলিশের অভায়াশ্রমে মাচ-এপ্রিল দুই মাস মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার নিষিদ্ধ ছিলো। এতে বেকার হয়ে পড়ে প্রায় ২ লাখ জেলে।

মৎস্য বিভাগ জানায়, নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে জেলেরা যাতে ইলিশ শিকার করতে না পারে সে জন্য দুই মাসে জেলার সাত উপজেলা থেকে মৎস্যবিভাগ, পুলিশ ও কোস্টগার্ড নিয়ে সর্বমোট ৩৮৪টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এসব অভিযানে মাছ ধরার অপরাধে ২৩০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং ১৭ লাখ টাকা ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়াও ৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার মূল্যের ১৫ লাখ ৫০ হাজার মিটার জাল ও ২ মেট্রিক টন ইলিশ এবং ৩২টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
জেলার সাত উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় অভিযানের সফলতা অনেক বেশী বলে মনে করছেন  সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, সদর উপজেলায় মোট ৬৫টি অভিযানে ১১৩ জেলে কারাদন্ড, ১১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৪লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত বছরের চেয়ে এ বছর মৎস্য অভিযান সফল। এ বছর ১০০  মেটিক টন ইলিশ রক্ষা পেয়েছে, যা থেকে উৎপাদন হবে ২’শ মেট্রিক টন ইলিশ।

Post a Comment

0 Comments