6/recent/ticker-posts

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ, পুলিশ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার করছে না


স্টাফ রিপোর্টার॥
পুলিশ দৌলতখান উপজেলায় হওয়া হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারে অলসতা দেখাচ্ছে। আসামী না ধরে উল্টো আসামী পক্ষের সঙ্গে আঁতাত করছে। বুধবার  সংবাদ সম্মেলনে বাদিপক্ষ এমন অভিযোগ করেছেন।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে দৌলতখান উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেন জান্নাতুল ফেরদৌস(৩১)। নিহত উম্মে কুলসুম বকুল বেগম (৫৮) তাঁর মা।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, 'উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের দিদারুল্যাহ গ্রামের বাসিন্দা উম্মে কুলসুম বকুল বেগম (৫৮) স্বামী আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে একা বসত করতেন। স্বামী অনেক আগে মারা যান। ৪ মে সন্ধ্যা রাতে নিজ ঘরে উম্মে কুলসুম খুন হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কুলসুমের একমাত্র ছেলে রেজাউল করিমকে  আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় পরের দিন মেয়ে আমেনা বেগম(৩২) বাদি হয়ে রেজাউল করিম, তাঁর স্ত্রী সাম্মি আকতার, প্রতিবেশি মো. হানিফকে আসামি করে মামলা করে। হানিফ দুই নম্বর আসামি।

জান্নাতুল ফেরদৌস আরও বলেন, তাঁর মা উম্মে কুলসুম বকুল বেগমের (৫৮) একমাত্র ছেলে রেজাউল ইসলাম। সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি শেষে এখন শশুর বাড়ি থাকে। সর্বশেষ সম্পত্তি ওই বাড়ি। ওই বাড়িতে রেজাউল করীম ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি পাওনা ছিল। মা ওই জমি বিক্রি করতে নিষেধ করেন। তারপরেও গত ২৬ এপ্রিল মো. হানিফ পক্ষের কাছে অর্ধ্যেক টাকার বিনিময়ে রেজাউল জমি বিক্রি করে। দখল পেলে বাকী টাকা পরিশোধ করবে। জমি লিখে নিয়ে হানিফ পক্ষ উম্মে কুলসুমকে ওই বাড়ি থেকে উৎখাতের পায়তারা চালায়। হত্যার হুমকি দেয়। নিহতের কিছু দিন আগে উম্মে কুলসুম এ ঘটনা পুলিশের কাছে অভিযোগপত্র আকারে জমা দিলেও পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করে না। পরে হানিফ পক্ষ ও রেজাউল মিলে তাঁর মাকে হত্যা করেছে। এক মাস ২০ দিন পার হলেও পুলিশ প্রকৃত আসামী হানিফকে আটক করেনি। উল্টো তাঁদেরকে (নিহতের মেয়ে ও জামাইদের) আসামী পক্ষ পাল্টা মামলা তুলে নেওযার হুমকী দিচ্ছে। ব্যর্থ হলে পুলিশের ইন্দনে পাল্টা দিয়েছে। হানিফ পক্ষ টাকার জোরে যা খুশি তাই করছে। আর পুলিশ তাঁদের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে।

জান্নাতুল ফেরদৌস আরও বলেন, প্রকৃত আসামিকে বাঁচাতে পুলিশ আসামীদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। তারা প্রকৃত ঘটনার তদন্ত দাবি করেন। এবং আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবি করেন।

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা তাকেই গ্রেফতার করেছেন, যার বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগ পেয়েছেন। বাদি পক্ষ চরফ্যাশনে ছিল। ঘটনাস্থলে ছিল না।  

Post a Comment

0 Comments