6/recent/ticker-posts

জমি বিরোধের জের ধরে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ


লালমোহন প্রতিনিধি।।
লালমোহনে জমি বিরোধের জের ধরে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে প্রতি পক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পৌর ২নং ওয়ার্ডে  ২৪ জুন রবিবার বেলা ২টায় হাছন হাওলাদার সড়কে শহিদ ম্যানেজারের বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হাছন হাওলাদার বাড়ির তাজউদ্দিন মিলন গং ও আঃ মন্নান গংদের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবৎ জমি বিরোধ চলে আসছে। জোরপূর্বক জমি দখল করার জন্য ও চলতি জরিপে নিজেদের নামে রেকর্ড নেওয়ার জন্য মন্নান গংরা পায়তারা দিতে থাকে। নানানভাবে জমির মালিক পক্ষ আঃ হক হাওলাদার ও মিলন গংদের হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে ধাকে।

মিলন গংদের ডিপির উপর চলতি জরিপে লালমোহন উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে বিভিন্ন নামে বাদি হয়ে কেইস করেন মন্নান গংরা। রবিবার কেইস শুনানীর ধার্য তারিখে অফিসে বাদি পক্ষের মন্নান গংদের সাথে বিবাদী পক্ষের আঃ হক গংদের কথা কাটাকাটি হয়। মন্নান গংরা প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে বাকবিতণ্ডার সুত্রপাত হয় বলে জানান আঃ হক গংরা। এরই জের ধরে মন্নান ও তার ভাই অহিদ, জাকির, নুরনবী ও কবির গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে আরজু হোটেলের সামনে সেটেলমেন্ট থেকে আসার পথে পথরোধ করে হাঙ্গামা করার চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে আঃ হক গংরা বেঁচে যান। পরবর্তীতে মন্নান মিল থেকে নিজের বাসার জন্য মরিচের গুড়া কিনে বাসায় যাওয়ার পথে হাছন হাওলাদার সড়কে শহিদ ম্যানেজারের বাসার সামনে তার চাচা দফাদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। চাচা দফাদার তার ভাতিজা মন্নানকে সেটেলমেন্ট ও আরজু হোটেলের সামনে ঝগড়ার রেশ ধরে আর ঝগড়া না করার জন্য বারন করে বাড়ি বাড়ি বসে ফয়সালার কথা বললে মন্নান এতে উত্তেজিত হয়ে তার সাথে থাকা পলিথিনে মরিচের গুড়ার পোটলা সজোরে নিক্ষেপ করলে গুড়া ছিটকে মন্নান ও দফাদারের গায়ে পড়ে। দফাদার দৌড়ে গিয়ে পুকুরে পড়ে। আর মন্নান লালমোহন হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়। তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে এসে মন্নানের ভাই অহিদ, জাকির, নুরনবী, কবির উত্তেজনা শুরু করে। হৈচৈ শুনে ছালেহা বেগম নামক একজন মুরুব্বি মহিলা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে চাইলে ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেয়।

এতে তার হাতে ও গাযে নীলাফুলা জখম হয়। এ ঘটনাকে পুঁজি করে মন্নান গংরা গোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে বলে খভিযোগ রয়েছে। অযথা অনুপস্থিত কিছু লোককে উদ্দেশ্যমুলকভাবে আসামী করে মন্নান গংরা তাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।  এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আঃ রাজ্জাক, ভাইস চেয়ারম্যান ফখরুল আলম হাং, থানা অফিসার ইনচার্জ মীর খাইরুল কবির ও পৌর ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন হাং প্রমুখ।

Post a Comment

0 Comments