6/recent/ticker-posts

২৮ দিন পর পদবঞ্চিত গ্রুপই খুলে দিলো বিএনপি র্কাযালয়।।জেলা যুবদলের কমিটি বাতিলের দাবি


এম মইনুল এহসান ॥
দীর্ঘ ২৮ দিন তালাবদ্ধ থাকার পর পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে  ভোলা জেলা বিএনপি কার্যালয়। জেলা বিএনপির যুগ্ম  সম্পাদক হুমায়ন কবির সোপান ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফের অনুরোধে  শনিবার সকালে পুনরায় জেলা জেলা বিএনপির কার্যালয় খুলে দেয় জেলা  যুবদলের কমিটিতে পদবঞ্চিত কায়েদ-কবির গ্রুপ। দীর্ঘ  ২৮ দিনে বিএনপি জেলা কার্যালয়ে জমেছে ধুলা,বন্ধ ছিলো জেলায় বিএনপির কার্যক্রম। শনিবার বিএনপি অফিস খুলে দেওয়ার পর তা আবশ্য পরিষ্কার করেছে কায়েদ-কবির গ্রুপই।

 গত  ১ জুন  শুক্রবার  রাতে কেন্দ্রীয় যুবদল সারা দেশের ২৯টি কমিটির সাথে ভোলা জেলা যুবদলের কমিটি ঘোষনা করে । কমিটিতে পদবঞ্চিত হওয়ায় পরের দিন ২ জুন  কমিটি প্রত্যাখ্যান  ও নতুন করে কমিটি দেওয়ার দাবিতে জেলা যুবদল ও জেলা বিএনপির কার্যালয় তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন জেলা যুবদলের সাবেক আহব্বায়ক তরিকুল ইসলাম  কায়েদ ও সদস্য সচিব কবির হোসেনের সমর্থকরা । ৪ জুন  যুবদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়– মিছিল , কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরর ও যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের কুশ পুত্তলিকা দাহ, নিরব-নয়ন কে ভোলাতে অবাঞ্চিত  ও কমিটি বাতিলের  জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন কায়েদ- কবির গ্রুপ । ৫ জুন জেলা যুবদলের বর্তমান  কমিটির  সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন ,  সম্পাদক আবদুল কাদের সেলিমের, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেনের  নেতৃত্বে তালা ভেঙ্গে যুবদল অফিস দখল করেন জেলা যুবদলের বর্তমান কমিটি  । ৮ জুন কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষেভ সমাবেশ করেন কায়েদ-কবির সমর্থকরা । তাদের  সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে যুবদলের কমিটি বাতিল ও পূনরায়  কমিটি করার জন্য দাবি জানান  জেলা বিএনপির সিনিয়র  সহ সভাপতি  আমিনুল ইসলাম খান , সদর থানা সভাপতি আসিফ আলতাফ , সম্পাদক মফিজুল ইসলাম মিলন, পৌর সভাপতি আবদুর রব আকন প্রমুখ । এর আগে  বর্তমান কমিটি বাতিলের জন্য কেন্দ্রীয় যুবদল কমিটিকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল ।

 র্দীঘ ২৮ দিনে কোন সমাধান  না  হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি,  শেখ হাসিনা সরকার পতনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম  এবং আগামি জাতীয় সংসদ র্নিবাচনকে সামনে রেখে দলিয় বৃহৎ স্বার্থের কথা কথা বিবেচনা করে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ন কবির সোপান ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফের অনুরোধে  শনিবার (৩০) জুন সকালে তালাবদ্ধ বিএনপি কার্যালয় খুলে দেয় কায়েদ-কবির সমর্থকরা ।
পরে বেলা ১২টার দিকে  বিএনপি  কার্যালয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হুমায়ন কবির সোপানের  সভাপতিত্বে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । এ সময় বিএনপি চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জেলা যুবদলের বর্তমান কমিটি বাতিলের দাবিতে বক্তব্য রাখেন সদর থানা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফ , বিএনপি নেতা শাজাহান  মিন্টু মোল্লা, বশির হাওলাদার , আবদুর রব আকন , জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সম্পাদক কবির তালুকদার, সেচ্ছাসেবক দল সাধারন সম্পাদক  খন্দকার আলআমিন, দক্ষিন দিঘলদী বিএনপি নেতা ইসমাইল গাজি , কৃষক দল নেতা  আবদুর রহমান সেন্টু প্রমুখ ।

 সদর থানা বিএনপি নেতা  হেলালউদ্দিনের সঞ্চালনায় এসময় বক্তরা বর্তমান  যুবদলের কমিটি মানেন না এবং  আগামিতেও এই কমিটি তারা  মানবে না বলে দাবি করেন এবং এই  কমিটি বাতিলের দাবি জানায় । এবং  সাবেক আহবায়ক তরিকুল ইসলাম  কায়েদ ও সদস্য সচিব কবির হোসেনের  নেতৃত্বে  কাজ করার  জন্য  থানা ইউনিয়ন যুবদলের  নেতৃবিন্দের  প্রতি  আহব্বান জানান । এ সময় কায়েদ- কবির সমর্থক যুবদলের নেতা র্কমিরা  হুমায়ন কবির সোপান ও আসিফ আলতাফের কাছে  যুবদলের কমিটি স্থগিত করার জন্য আবেদন জানানোর পেক্ষিতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক  হুমায়ন কবির সোপান ও  সদর  থানা বিএনপি সভাপতি আসিফ আলতাফ বলেন , যুবদলের কমিটি দেওয়ার বা স্থগিত করার এখতিয়ার কেবল কেন্দ্রীয় যুবদলের । এই কমিটি বাতিল করার বা বহাল  রাখার ক্ষমতা জেলা / থানা বিএনপির নেই  । আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবারো এই কমিটি বাতিল করে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকা ত্যাগি  নেতাদেরকে নিয়ে কমিটি করার দাবি জানাই ।  সমাবেশ শেষে কায়েদ -কবিরের নেতেৃতে সদর রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেন । মিছিল শেষে পদবঞ্চিত নেতারা জেলা যুবদলের র্কাযালয়ের সামনে বক্ত্যব রাখেন।  তারা বলেন কেন্দ্রীয় কমিটি ৫০ লক্ষ টাকার  বিনিময়ে এই কমিটি করেছে । এই কমিটি  ভোলার যুবদলের নেতার্কমিরা মানে না ।

এদিকে বর্তমান জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক আবদুল কাদের সেলিম দৈনিক  আজকের  ভোলাকে জানান,  কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনতন্ত্র মেনে  সম্পূর্ণ  বৈধ ভাবে আমাদের কমিটি দিয়েছে । আমরা ইতি পূর্বে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলাম । জেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্জ  গোলাম নবী আলমগীর ও সম্পাদক  হারুনর রশিদ ট্রুমেন এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি । আগামি দিনে সকল আন্দোলন  সংগ্রামে গোলাম নবী আলমগীর ও হারুনর রশিদ ট্রুমেনের নেতৃত্বে আমরা র্দুবার আন্দোলন করে যাব ।

Post a Comment

0 Comments