গোপাল চন্দ্র দে,ভোলা:

ভোলায় শিশু বিবাহ রোধ প্রকল্পের কিশোরী ক্লাব,ও প্রান্তিক ও অবহেলিত,ঝড়ে পড়া,এতিম, অশ্রিত,বিশেষ গুন সম্পন্ন প্রতিবন্ধী এবং শিশু বিবাহে ঝুকিঁতে থাকা এমন কিশোরীদের মাঝে শিশু সুরক্ষা বৃত্তি প্রদান এবং শান্তি শ্রেনী মাঠ সেন্টার পরিদর্শন করেছেন ইউনিফেসের টিম।
সোমবার দিনভর লালমোহন ও ভোলা সদরে এসব কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ভোলার জেলা প্রশাসক মো: সেলিম উদ্দিন, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান, লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুল আরেফিন, ইউনিসেফ ডেপুটি রিপেজেন্টটিভ শিমা সেন গুপ্তা, শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা জীন লেইবি, জেন্ডার এন্ড ডেভলপমেন্ট স্পেশালিস্ট রোশনি বসু, চাইন্ড প্রটেকশন অফিসার মোমেনুল নেছা শিখা, ওয়াস প্রকল্পের কর্মকর্তা ফোরকান আহমেদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেবুন্নেছা, কোস্টট্রাস্ট পরিচালক সনত কুমার ভৌমিক, ইউনিসেফ বরিশাল বিভাগীয় প্রধান এএইচ তৌফিক আহমেদ,  কোস্টট্রাস্টের প্রকল্প সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, সহকারি প্রকল্প সমন্বয়কারী দেবাশীষ, ইসিএম প্রকল্পের  ট্রেনিং এন্ড মনিটরিং অফিসার তানজিলুর রহমান রাফী, আইপিটি ফেসিলিটর সাইফুল্লাহ সানী, ইউনিয়ন সমন্বয়কারী আদিল হোসেন তপু প্রমুখ।
প্রতিনিধি দল শুরুতে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্মেলন কক্ষে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। এ সময় তারা উপজেলার ৪৯ দরিদ্র শিক্ষার্থী এবং কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকার টেক তুলে দেন। বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ১৮ বছরের আগের বিয়ে না বসা ও পড়ালেখা চালিয়ে যায়ার শর্ত দেয়া হয়।
পরে ইউনিসেফ প্রতিনিধি দল জেলা সদরের ব্যাংকেরহাট শান্তি শ্রেনী মাঠ সেন্টার পরিদর্শন করে। বিকালে স্থানীয় শিবপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কাদের বেপারী বাড়িতে কিশোরী ক্লাব পরিদর্শন করেন। এসময় কিশোরী ক্লাবে সদস্যরা জেলা প্রশাসক এবং ইউনিসেফ টিমকে সংবর্ধনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ইউনিসেফ দ্বারা পরিচালিত এবং কোস্ট্রট্রাস্টের বাস্তবায়নে ইসিএম প্রকল্প কিশোরী সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এতে শিশু বিবাহসহ শিশু সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছেন। এসময় বক্তারা বলেন,বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। এর ফলে মাতৃমিত্যু ও শিশু মৃত্যু হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।  ফলে অনেক শিক্ষার্থীরা স্কুল থেকে শিশুরা ঝড়ে পরছে।
 তারা আরো বলেন, শিশু বিবাহ পরিবার দেশ, সমাজ ও জাতির জন্য অভিশাপ। কোন অবস্থাতেই মেয়েদের ১৮ বছর আগে এবং ছেলেদের ২১ বছর আগে বিয়ে দেয়া যাবে না।
আর  কেউ যদি বিবাহের ব্যবস্থা করে থাকে তার শিশু বিবাহ আইনে তার  শাস্তি  পেতে হবে। এর জন্য আমাদের সকল কিশোরীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাল্য বিবাহ কে ‘না’বলতে হবে। সামাজিক প্রতিরোধের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ বন্ধ করার আহবান জানায়।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন ঝড়ে পড়া থেকে স্কুল গামী শিক্ষার্থীদের এক কালিন আর্থিক সহায়তা ও ক্লাবের জন্য ম্যাট প্রদান করবে বলে কিশোরীদের আস্বস্ত করেন।