6/recent/ticker-posts

ভোলা-পটুয়াখালী বাসীর স্বপ্নের বাঘমারা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়


গোপাল চন্দ্র দে,ভোলা ॥


ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার সংযোগকারী বাঘমারা নদীর ওপর প্রায় দেড় হাজার ফুট দীর্ঘ ভোলাবাসীর স্বপ্নের বাঘমারা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী, দক্ষিন দিঘলদী, চর সামাইয়া, ভেদুরিয়া ও ভেলুমিয়া ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের প্রানের দাবী ছিল বাঘমারা খেয়ার স্থানে বাঘমারা সেতু স্থাপনের। ভোলার বাংলাবাজার-বাঘমারা-শরীফখা-ভেলুমিয়া-ব্যাংকেরহাট সড়কটি অপরিপূর্ন ছিল একটি মাত্র সেতুর জন্য। এ ছাড়া ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার সঙ্গে সেতুবন্ধনের বাধা ছিল বাঘমারা সেতু। এ সেতু পার হয়ে মাত্র এক ঘন্টায় ভোলা থেকে পটুয়াখালী যাতায়াত করা যায়।


জানা যায়, ২০১০ সালে ভোলা সদর আসনের সংসদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ সেতু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন । ২০১২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বৃহত্তর বরিশাল জেলার গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সেতুটি অনুমোদন করা হয়।
ভোলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, ৪৪০ মিটার (১৪৪৫ ফুট) দীর্ঘ্য ও ৭মিটার (২৩ফুট) প্রস্থর এই প্রি-স্ট্রেচ গার্ডার সেতু নির্মানে ব্যয় হয়েছে ৪২ কোটি টাকা। সেতুর পূর্ব পার্শে রয়েছে ১২০ মিটার আর পশ্চিম পাশে রয়েছে ৩৬০ মিটার এপ্রোচ সড়ক। তিনি আরো জানান কয়েক মাস আগে ভোলাবাসীর স্বপ্নের বাঘমারা সেতু নির্মান কাজ সম্পূর্ন হয়েছে। ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠাতা তমা কনষ্ট্রাকশন লি: সেতুটি নির্মান করেছে । তিনি জানান এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী এবং ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সময় দিলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ভোলাবাসীর স্বপ্নের বাঘমারা সেতু উদ্বোধন করা হবে ।
সরজমিনে সেতুর ওপর গিয়ে দেখা যায় মানুষের উচ্ছাস। প্রতিদিন বিকেলে হাজার হাজার মানুষ এ ব্রিজে মানুষ সময় কাটাতে পরিবার পরিজন নিয়ে আসে। এখানে রয়েছে খেলার মাঠ সহ স্প্রিড বোর্ড ও দর্শনার্থীদের বিনোদনের নানান ব্যাবস্থা। স্থানীয়দের কাছে এ ব্রিজটি একটি দর্শণীয় স্পট হিসেবেও পরিচিতি হয়ে ওঠেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মোফাজ্জল হোসেন (৭০), মোঃ তরিকুল (২৯), জাকির খা (৩৫) জানান, এ সেতু এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যপক ভুমিকা রাখছে। বিশেষ করে কৃষকের উৎপাদিত পন্য পরিবহনে সহজ হয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হওয়ার কারনে তারা এখন ভাল ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে পারছে। পটুয়াখালীর কালাইয়ার বাসিন্দা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, পটুয়াখালী জেলার অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ ভোলা জেলায় বসবাস ও চাকুরী করছে। একটি সেতু তাদের যাতায়াতে অন্তত দু’ঘন্টা সময় বাচিয়ে দিয়েছে।

Post a Comment

0 Comments