6/recent/ticker-posts

চরফ্যাশনে তিন ইউপিতে আ’লীগের প্রার্থীরা জয়ী


আদিল হোসেন তপু ॥
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে (ইউপি)তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তিনি ইউপিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।


চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড়, আমিনাবাদ এবং নীলকমল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৩ প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। জিন্নাগড় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে মো: হোসেন মিয়া পেয়েছেন ৬৪০২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শাহ এমরান ভুইয়া পেয়েছেন ৪২৮ ভোট। আমিনাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে জামাল উদ্দিন পেয়েছেন ৬০৮৭ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আখতার উদ্দিন পেয়েছেন ৭১৮ ভোট। নীলকমল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৗকা প্রতীক নিয়ে মো: আলমগীর পেয়েছেন ১১২২২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী  ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নওরেজ বাবুল পেয়েছেন ১০৮১ ভোট। তাদেরকে নির্বাচন কমিশন বেসরকারী ভাবে বিজয়ী ঘোষনা করেন।


এর আগে কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে ভোলার চরফ্যাশনের তিন ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেন। বৃহস্প্রতিবার দুপুর ১ টার দিকে নীল কমল ইউনিয়নের বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নওরোজ বাবুল তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়। বাকী প্রার্থীরা হলেন আমিনাবাদ ইউনিয়নের গোলাম আকতার ও জিন্নাগর ইউনিয়নের ইমরান ভুঁইয়া।
সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শুরু হলেও বেলা বারার সাথে কিছু কিছু কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখ্য, ভোলার বৃহৎ উপজেলা চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড়, আমিনাবাদ এবং নীলকমল ইউনিয়নে সর্বমোট চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ১০ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২৫ এবং পুরুষ ইউপি সদস্য পদে ৭২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ তিন ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ৪০ হাজার ৪৯০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৪৯০ এবং নারী ভোটার ১৯ হাজার ৫৩০ জন। ৩ইউপিতে মোট কেন্দ্র ২৮টি।
নির্বাচনে শান্তিপূর্ন পরিবেশে বজায় রাখতে বিজিপি, পুলিশ, র‌্যাব ও কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট টিম মোতায়েন রাখা হয়।

Post a Comment

0 Comments