মইনুল এহসান॥
ভোলার তজুমুদ্দিনের ৭ মহিষ বাতান ও ১ জেলেকে অপহরনের ১দিন পর ১লাখ ১০ হাজার টাকা মুক্তিপনের বিনিময়ে অপহৃতদের মুক্তি দিয়েছে তজুমুদ্দিনের কুখ্যাত জলদস্যু সামসুদ্দিন বাহিনি । অপহরনের পর ৮লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করার পর বিভিন্ন দফা রফার পর বিকাশের মাধ্যামে ১লাখ ১০ হাজার টাকা মুক্তিপন দেওয়ার পর বুধবার রাতে ভোলার তুলাতুলি বাজারের কাছে মেঘনা নদীর পারে এক নির্জন এলাকায় তাদেরকে ছেরে দেওয়া হয় ।
মহিষ মালিকদের সুত্রে জানা যায় ২ তারিখ মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সারে ১২টার দিকে তজুমুদ্দিন সোনাপুর ইউনিয়নের চর লাদেনে (মাঝের চর ) তজুমুদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম কাশেম তালুকদারের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদ তালুকদার,স্বপন প্রফেসর ও লোকমান দালালের মহিষ বাতান ঘরে তজুমুদ্দিনের কুখ্যাত জলদস্যু পুলিশের ক্রস ফায়ারে নিহত আলাউদ্দিন ডাকাতের ভাই জলদস্যু সামসুদ্দিন বাহিনীর কমান্ডার সামসুদ্দিন ডাকাত ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড জলদস্যু ইব্রাহিম ডাকাতের নেতৃত্বে ১০-১২ জন জলদস্যু হামলা চালায় । এসময় অস্ত্রের মুখে মিরাজ, শাহে আলম, রফিক, ফরিদ, হেলাল, নুর হোসেন , জনৈক ফরিদের বাবা নামের এক মহিষ বাতান সহ মোট ৭ জন মহিস বাতান ( মহিষের রাখাল ) ও স্থানীয় কাঞ্চন মাঝি নামের এক জেলে কে অপহরন করে ।
এ সময় তারা মহিষ বাতান ঘর থেকে আনুমানিক ৩০ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামাল লুট করে। এসময় জলদস্যু বাহিনী অপহৃতদের ট্রলারে করে ভোলার মদনপুর মাঝের চর এলাকার র্নিজন চরে আটক করে রাখে । অপহৃত মহিষ বাতানদের মুক্তির জন্য জলদস্যুরা মহিষ মালিক ও বাতানদের পরিবারের কাছে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে । বুধবার দিন ভর দেন দরবারের পর ১লাখ ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে প্রদানের পর সামসুদ্দিন বাহিনি সন্ধার পর আনুমানিক ৮টার দিকে ৭ জন বাতান ও জেলে সহ আট জনকেই ভোলা তুলাতুলি এলাকার কাছে মেঘনা নদীর পারে ছেরে দেয় । এ সময় সামসুদ্দিন বাহিনি আরো ১ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে । আগামি এক মাসের মধ্যে ১ লক্ষ টাকা চাদা প্রদান না করলে পুনরায় মহিষ বাতানে হামলা ও বাতানদের অপহরন করবে বলে হুমকি দেয় । পরে মহিষ বাতানরা নিজ এলাকায় ফিরে যায় । জলদস্যুদের হুমকির কারনে এখন তারা আতঙ্কিত ও নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছে । তারা এ ব্যাপারে কোষ্টগার্ড ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ।
0 Comments