6/recent/ticker-posts

ভোলার পরানগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত


গোপাল চন্দ্র দে ॥
শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন, প্রভাতফেরী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভোলার পরানগঞ্জে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।


২১ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) সকালে পরানগঞ্জ শিক্ষা কমপ্লেকসে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজ, হালিমা খাতুন গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ, পরানগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পরানগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, পরানগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৬নং মুরাদ ছবুল্লাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গ্রামীন সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের যৌথ উদ্যোগে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় দিবসটি পালন করা হয়।


সকালে প্রথম প্রহরে একটি বিশাল প্রভাতফেরী বের হয়ে পরানগঞ্জ বাজার, বিশ্বরোড চত্বর হয়ে পরানগঞ্জ মাঠে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। পরে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা পুস্পস্তবক অপর্ন করেন। পুস্পস্তবক অর্পন শেষে পরানগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ছিদ্দিক এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নাজিউর রহমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পীযুষ কান্তি হালদার, হালিমা খাতুন গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ টিপু সুলতান, পরানগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মীর বেলায়েত হোসেন, পরানগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহ-প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুর রব, গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও এসএ টিভি জেলা প্রতিনিধি এ্যাড: সাহাদাত হোসেন শাহিন, ২৬নং মুরাদ ছবুল্লাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র প্রমুখ।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, হালিমা খাতুন গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ শফিকুল ইসলাম, নাজিউর রহমান কলেজের প্রভাষক বিশিষ্ট সাহিত্যিক কাজল কৌশিক, প্রভাষক মোঃ আবদুল হালিম, হালিমা খাতুন গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম, প্রভাষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, দক্ষিণ জামিরালতা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার প্রভাষক ও গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের উপদেষ্টা মীর নুরে আলম ফরহাদ, পরানগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহাবুদ্দিন, ২৯নং মুছাকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পাঠাগারের উপদেষ্টা মোঃ জামাল উদ্দিন বাহার, ২৬নং মুরাদ ছবুল্লাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুফিয়া আক্তার, গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের উপদেষ্টা ডাঃ মেহেদী হাসান কামাল, পাঠাগারের আহ্বায়ক মোঃ ঈমাম হোসেন কান্টু, প্রধান শিক্ষক ও পাঠাগারের নির্বাহী সদস্য মোঃ মাইনুদ্দিন হাওলাদার, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক ও পাঠাগারের সাবেক সম্পাদক এম শাহরিয়ার জিলন, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও পাঠাগারের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া আরও গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের সদস্য মোঃ মুনছুর আলম, মোঃ জিহাদ আসিফ, মোঃ সুজন কাজী, মোঃ ফজলে রাব্বী, মিজানুর রহমান, সাদ্দাম মাল, মোঃ তানিম হাওলাদার, মোঃ ফয়েজ আহমেদ, তানভির মোল্লা, মোঃ শাকিল, বিজয় মমিন প্রমুখ। এছাড়াও কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও পাঠাগারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যে কোন জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার-মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন। বক্তারা আরও বলেন, রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। বক্তারা আরও বলেন, আমাদেরকে এই ভাষাকে ভালোবাসতে হবে। বেশি বেশি বাংলা চর্চা করতে হবে। তাহলেই আমাদের এই ভাষা আন্দোলন স্বার্থক হবে।

Post a Comment

0 Comments