6/recent/ticker-posts

ভোলায় বর্নিল আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরন


এম শাহরিয়ার জিলন,গোপাল চন্দ্র দে ॥
ভোলায় জেলা প্রশাসন সহ নানা সংগঠনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উদযাপন।

১৪ এপ্রিল (শনিবার) ছিলো বাঙালির প্রানের উৎসব পহেলা বৈশাখ দিনটি উদযাপন করে জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সংগঠন।
ভোলার বিনোদন কেন্দ্র গুলোতেও ছিলো প্রচুর ভিড়, মানুষ পরিবার সহ সময় কাটতে ভিড় করে এসব কেন্দ্রেগুলোতে।

জেলা প্রশাসন:
দিনের শুরুতেই জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অফিসার্স ক্লাব বটমূলে ছিলো স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমী ও শিশু একাডেমীর শিল্পীদের পরিবশেনায় প্রভাতী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


সাংস্কৃতিক আয়োজন শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। ব্যার্নার ফেস্টুন সহ  বর্নিল সাজে সজ্জিত হয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করে বাঙালির ঐহিত্য তুলে ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। কেউ সেজেছে কৃষক কেউ কামাক,কুমার,বর-বউ,জেলে ইত্যাদি। মঙ্গল শোভাযাত্রাটি ভোলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে আবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। যাতে অংশনেয় স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা সহ  বিভিন সংগঠনের সদস্যরা।

প্রভাতী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সচিব এম মোকাম্মেল হক, জেলা ও দ্বায়রা জজ ফেরদৌস আহমেদ,জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক,জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল মমিন টুলু, পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মৃধা: মো: মোজাহিদুল ইসলাম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আলমগীর কবির,মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

যুব রেড ক্রিসেন্ট:
বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি “ ভোলা ইউনিট এর যুব রেড ক্রিসেন্ট” সদস্যরা ও। (১৪ এপ্রিল) সকালে তারা জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার অংশ নেয়। ভোলা ইউনিট অফিসে আলোচনা সভা, পান্তা ভোজ, নববর্ষের গান, নৃত্যনুষ্ঠান সহ নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরন করে নেয় তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ভোলা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী মো: আজিজুল ইসলাম,নির্বাহী সদস্য মো: ফেরদৌউস আহমেদ ও চেম্বার অব কর্মাস এর পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- যুব রেড ক্রিসেন্ট ভোলার যুব আদিল হোসেন তপু, উপ-প্রধান মো: আনোয়ার হোসেন, রাবিদ,মিশুক, মো: সাদ্দাম হোসেন ,নোমান,খাদিজা মিম, গোপাল চন্দ্র দে  প্রমুখ।

হালিমা খাতুন স্কুল এন্ড কলেজ:
হালিমা খাতুন স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ষবরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

১৪ এপ্রিল (শনিবার) স্কুল হলরুমে এ আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সচিব এম মোকাম্মেল হক,জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক,জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল মমিন টুলু,নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ এম.মাকসুদুর রহমান,সমাজসেবক গোলাম কিবরিয়া জাহাঙ্গীর,প্রতিষ্ঠান প্রধান টিপু সুলতান সহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নাচে গানে কবিতায় বর্ষবরন করেন আগত শিল্পী সহ শিক্ষার্থীরা।

হেল্প এন্ড কেয়ার:
যেখানে সকলের দামি কাপড় পড়ে বড় রেস্টেুরেন্ট খাওয়াদাওয়া ও ঘোরাঘুরি করার কথা সেখোনে সেচ্ছাসেবী সংগঠন হেল্প এন্ড কেয়ার সদস্যরা সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে ভোলার শহরের বাংলা স্কুল মাঠে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে। তাদের পহেলা বৈশাখের নতুন কাপড় এবং একত্রে বাঙালির ঐতিহ্য পান্তা খায় হেল্প এন্ড কেয়ারের সদস্যরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হেল্প এন্ড কেয়ার প্রতিষ্ঠাতা অমি আহমেদ,হেল্প এন্ড কেয়ারের সভাপতি আকলিমা টুকু,  সাধারণ সম্পাদক সিয়াম আহমেদ,প্রচার ও আইটি সম্পাদক ইমতিয়াজুরর রহমান,এম শরীফ আহমেদ,মোঃ তুনির, মুনিয়া ইসলাম,চাঁদনী,মোঃ রাফসান, মোঃ রাকিব,মোঃ ইমন, মোঃ রাজিব, মোঃশাকিব, সামাদ,শুভ,শামিম,ওয়াহিদ ইমন প্রমুখ।

ভোলা থিয়েটার বর্ষ বরন:
বিকাল ৪টায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে জেলা পরিষদ প্রশাসক আবুদুল মমিন টুলুর সহযোগীতায় ও ভোলা থিয়েটারের আয়োজনে ছিলো বর্ষ বরণ ১৪২৫ উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভোলা থিয়েটারের শিল্পীদের পরিবশেনায় অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় হাজারো মানুষ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ও দ্বায়রা জজ ফেরদৌস আহমেদ,জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক,জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল মমিন টুলু,পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন,অধ্যক্ষ রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর,অধ্যক্ষ আফসার উদ্দিন বাবুল,অধ্যক্ষ শাফিয়া খাতুন,চেম্বার অব কমার্স পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

শাহবাজপুর মেঘনা পর্যটন কেন্দ্র:
ছুটির দিনে চাকুরীজিবি সহ সকল মানুষ পরিবার ও প্রিয়জনদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে ভালোবাসে আর পহেলা বৈশাখতো বিশেষ দিন তার উপর ছুটির দিন ও বটে। তাই ছুটির দিনে ভিড় ছিলো ভোলা শাহবাজপুর মেঘনা পর্যটন কেন্দ্র (তুলাতুলি) তে। সকাল থেকেই মানুষ প্রিয়জনদের সাথে বাংলা নতুন বছরে সময় কাটাতে আসে এ পার্কে। বর্ষবরনকে কেন্দ্র করে পার্ক কর্তৃপক্ষ ও রেখেছিলো বিশেষ আয়োজন। শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড,স্পীড বোর্ড ও নৌকায় নদী ভ্রমন,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সব মিলিয়ে এক মেলায় পরিনত হয়েছিলো পার্কটি।

Post a Comment

0 Comments