এম শাহরিয়ার জিলন/গোপাল চন্দ্র দে॥
একমাস রোজা রাখার পর আসছে ঈদ। ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। বাকি মাত্র কটা দিন তাই পছন্দের সব সামগ্রী কিনতে ভিড় বিপনী বিতান গুলোতে। শেষ মহুর্তে চলছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর আগাম মার্কেট জমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে পন্যের দামএকটু বেশী বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড় তৈরী পোশাক, শাড়ি, কসমেটিকস, জুতা এবং পাঞ্জবীর দোকানে।
শহরের জিয়া সুপার মার্কেট, জাহাঙ্গীর প্লাজা, তালুকদার ভবন, কে জাহান, চৌধূরী প্লাজা, আমেনা প্লাজা, চক মার্কেট, নবারুন সেন্টারসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের আগমনে মুখরিত ঈদের বাজার। তরুনী-তরুনী, শিশু কিশোরসহ সব বয়সের ক্রেতাদের সমাগম। নতুন পোশাকের পসরা আর বাহারি আলোক সজ্জায় সাজানো হয়েছে বিপনী-বিতানগুলোতে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক ডাকে যেন মুখরিত হয়ে উঠেছে এসব মার্কেট।
ক্রেতা জাকির জানান, পরিবারের জন্য ঈদের নতুন পোশাক কেনা-কাটা করতে এসেছি, দাম একটু বেশী হলেও সাধ্য অনুযায়ী পোশাক কিনেছি।
ক্রেতা শারমিন জানায়, ঈদ মানেই আনন্দ, এ ঈদে শহরের মার্কেটগুলোতে পছন্দের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। পরিবারের সবার জন্য নতুন পোশাক কিনতে আসছি।
শহরের চৌধুরী প্লাজার ফুল- পাঞ্জাবি-সাটর্-কসমেটিক্স’র বড় প্রতিষ্ঠান ‘বিয়ে বাজার’ গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপছে ভীড়। সেখানে বাহারি রংয়ের এবং নামের ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবি পসরা সাজানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঈদে ছেলেদের পছন্দ ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবী। ঈদে নতুন পাঞ্জাবীর কালেকশণ হিসাবে আমাদের এখানে রয়েছে টিজি মটকা, ব্রাসো, চিকেন, অরবিন্দ, এন্ডি কটন,এন্ডিসিল্ক, কারচুপি এবং সেওয়ানীর মধ্যে কাসিম, খানসাব এবং খুমাল রয়েছে। যা ক্রেদাদের খুবই পছন্দের। এসব সেরওয়ানী গড়ে ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের রয়েছে। এছাড়াও দেশী পাঞ্জাবীর মধ্যে আদি কাপড় ও কুমিল্লারপাঞ্জামী রয়েছে। ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যেই এসব পাঞ্জাবী।
শহরের জাহাঙ্গীর প্লাজার ব্যবসায়ী মো: জিতু বলেন, এবার ঈদের নতুন ডিজাইনের প্যান্টের আমদানী হয়েছে, যারমধ্যে আরটি, ইয়াসুম্যান, ড্রাম্প, গিউশি বেশী বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ওয়াস, একটিভ, সানক্লাব ও সামিয়ান নামের বিভিন্ন ব্রান্ডের সার্ট চাহিদা বেশী।
একই চিত্র দেখা গেছে শাড়ি ও গার্মেন্টস দোকানে। সেখানে বিভিন্ন নামের শাড়ি, থ্রি-পিস, স্কাট, লেহেঙ্গা সহ ভারতীয় বিভিন্ন নামের পোশাক। সেখানে নারীদের উপছে পড়া ভীড়। জমে উঠেছে কসমেটিক্স এর দোকানগুলোও। সেখানে ব্যাগ, চুড়ি, বিভিন্ন প্রশাধনী, এমিটিগহনাসহ নানা উপকরন বিক্রি হচ্ছে।
জিয়া সুপারমার্কে সংলগ্ন বৈশাখী সুপার কসমেটিকস’র পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর কেনা-কাটা অনেক বেশী, ঈদ মার্কেট জমে উঠেছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু জেলা সদর নয়, জেলার ৬ উপজেলার ছোট-বড় বিপনী বিতান ও মার্কেটগুলোতে ঈদের মার্কেট জমতে শুরু করেছে।
বিভিন্ন উপজেলা থেকেও জেলা সদরের মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনা-কাটা করতে ছুটে আসছেন বহু ক্রেতা। দিন যত ঘনিয়ে আসতে ঠিক ততই ভীড় বাড়বে বলে মনে মনে করছেণ বিক্রেতারা।
ঈদ মার্কেটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভোলার পুলিশ সুপার মো: মোকতার হোসেন। তিনি বলেন, শুধু মার্কেট নয়, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালগুলোতে ঈদে ঘুরমখো মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ।