6/recent/ticker-posts

ভোলায় র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত


এম শাহরিয়ার জিলন ॥
‘নেতৃত্ব চাই যক্ষ্মা নির্মূলে, ইতিহাস গড়ি সবাই মিলে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ভোলায় পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস।


শনিবার (২৪ মার্চ) সকালে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে, এনজিও ব্র্যাক ও জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর সহযোগীতায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে একটি র‌্যালিটি শহরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। র‌্যালী শেষে সিভিল সার্জনের হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্রনাথ মজুমদার।
সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা ডাঃ সাহাদাত হোসেন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর ভোলা জেলা সভাপতি ও আজকের ভোলা সম্পাদক আলহাজ্ব মু. শওকাত হোসেন, ব্র্যাক ভোলা জেলা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সুলাইমান, ব্র্যাক এর ভোলা প্রতিনিধি মোঃ মুসলিম, নার্সিং ইন্সটেক্টর ইনচার্জ রোকসনা বেগম। এসময় ডাক্তার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, নার্সগণ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা নির্মূলে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যক্ষ্মা সনাক্তকরণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। ইপিআই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ যেমন স্বপ্রণোদিত হয়ে অংশ নিচ্ছে, তেমনি যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচিকে জনকর্মসূচিতে পরিণত করতে হবে। আগে এসব রোগ মহামারী আকার ধারণ করতো। বর্তমানে বাংলাদেশে শতভাগ কন্ট্রোলে রয়েছে, যা বহির্বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ, এনজিও ব্র্যাক, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) সহ বিভিন্ন সংস্থার অক্লান্ত পরিশ্রমে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে অনেক এগিয়ে এসেছে। এখানকার মানুষের গড় আয়ু আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশে ই-হেল্থ চালু আছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করে চলেছে।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে এনটিপির মাধ্যমে দেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০১ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারিভাবে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ১৮৯ জন। দেশে এখন এক্সটেনসিভলি ড্রাগ রেজিষ্ট্যান্ট রোগীর সংখ্যা মাত্র ১২ জন।
উল্লেখ্য, যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। ১৮৮২ সালের এ দিনে ড. রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার ও এ রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের পথ উন্মোচন করেন। তাকে স্মরণ করেই এই দিনটিতে যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়ে থাকে।

Post a Comment

0 Comments