6/recent/ticker-posts

ভোলার বাপ্তা ইউনিয়নে দুই শিশুকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ॥ মামলা দায়ের


গোপাল চন্দ্র দে ॥
ভোলা বাপ্তায় দুই শিশুকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার (৮ নভেম্বর) বাপ্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বুড়ি মসজিদ সংলগ্ন বাইস কাঠালি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে শারীরিক নির্যাতনের শিকার দুই শিশু ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এ ঘটনায় ভোলা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আবদুল হাই এর স্ত্রী রুমা বেগম তার ১ম শ্রেণী ও ২য় শ্রেণীতে পড়ুয়া দুই মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ী বাপ্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে বুড়ি মসজিদ সংলগ্ন বাইস কাঠালি বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রুমার বেগম এর দুই মেয়ে একই বাড়ীর শাজাহান বাদশারের ঘরের পিছন থেকে রোর্দ্দে শুকাতে দেওয়া জামা কাপড় আনতে যায়। এসময় শাজাহান বাদশার ছেলে লোকমান (৩৫) দুই বোনকে ভূল বুঝিয়ে বিলের কাছে ঝোপঝাড়ে নিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক নির্যাতন করে। এসময় দুই বোন (ভিকটিম) আত্মচিৎকার করে উঠলে লোকমান তাদের মুখ চেপে ধরে শারীরিক নির্যাতন চালায়। ভিকটিম দুই বোন বাসায় এসে বিষয়টি তাদের মা রুমা বেগমকে জানান। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার নাসির হোসেন ছেলে পক্ষের হয়ে ভিকটিমের বাসায় এসে দুই হাজার টাকা বিষয়টি মিমাংসা করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনা শুনে বাল্য বিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চ্যানেল-২৪ প্রতিনিধি আদিল হোসেন তপু, বাল্য বিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক এম শাহরিয়ার জিলন ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত শুনেন। বিষয়টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শিশুর সহায়তায় ফোন ১০৯৮ নাম্বারে জানালে তারা সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেন। সমাজ সেবা অধিদপ্তরের লোকজন দুই ভিকটিমকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লম্পট লোকমানকে আসামী করে শিশু ও নারী নির্যাতনে একটি মামলা দায়ের করেন।

বাল্য বিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আদিল হোসেন তপু বলেন, বাপ্তা ইউনিয়নের দুই শিশুকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাটি শুনতে পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি আমরা শিশুর সহায়তায় ফোন ১০৯৮ নাম্বারে জানাই। তারা সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমি লম্পট লোকমানকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। যাতে এ ধরনের ঘটনা আর কোন শিশুর সাথে না ঘটে।

Post a Comment

0 Comments