গোপাল চন্দ্র দে, ভোলা : হাজারো সংকট, তবুও চিকিৎসা সেবা বাড়াতে ভোলার মনপুরায় ভলেন্টিয়ার দিয়ে রোগীদের সেবা করা হয়েছে। ১৩ জন সেচ্চাসেবী হাসপাতালর ইনডোর ও আউটডোরে রোগীদের সেবার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সহকারি হিসাবে তারা কাজ করছেন।
এতে একদিকে যেমন চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন হচ্ছে অন্যদিকে হয়রানি ও ভোগান্তি হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
গত ১ এপ্রিল থেকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে এ ভলেন্টিয়ার দিয়ে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে জনগনের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
গত ১ এপ্রিল থেকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে এ ভলেন্টিয়ার দিয়ে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে জনগনের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে ঘিরে দেখা গেছে, উপজেলার চার ইউনিয়ন থেকে আগত রোগীদের ভীড়। প্রবেশ গেইটের ভীতরে অর্ভ্যথনা জানায় স্বেচ্ছাসেবীরা। পরে তাদের চিকিৎসা সেবা নিতে জরুরী বিভাগ ও আউটডোরে নিয়ে যেতে সহায়যোগীতা করা হয়। এছাড়াও ইনডোরে ভর্তিকৃত পুরুষ ও মহিলা বেডে নার্সদের সার্বিক সহযোগীতা করছেন তারা।
স্কুল ও কলেজ পড়–য়া সুমাইয়া, মোনালিসা, লিয়া, শারমিন, মিম, জেসমিন, নুপুর, তানিয়া, রোকসানা, জয়নব, আকলিমা, সোহেল ও শারমিন রোগীদের চিকিৎসা নিতে সহযোগীতা করছেন। তারা মায়েদের সচেতনতা, জরুরী প্রসুতি সেবা, কুসংস্কার দুর করা, নার্সের সহযোগীতা, রোগীদের গাইড করা, ডাটা এন্টি এবং রোগীদের হাসপাতালমুখী এবং আত্নবিশ্বাসি গড়ে তুলতে কাজ করছেন।
এছাড়াও ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীদের ওষুধপত্র বুঝিয়ে দিচ্ছেন। হাসপাতালটিকে নারী শিশু বান্ধব গড়ে তুলতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মুহামুদুর রশিদ এ উদ্যোগ নিয়েছেন এবং কাযক্রমে সফলতার মুখ দেখতে পাচ্ছেন তিনি।
চিকিৎসা নিতে আসা রেহানা, রহিমা ও জোসনা বিবি বলেন, চিকিৎসা নিতে এলে এখন আর আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়না, স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্যরা আমাদের সহযোগীতা করছেন।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফাতেমা বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্স স্বল্পতার কারনে রোগীদের চিকিৎসা করতে অনেক ঝামেলায় পড়তে হতো, কিন্তু এখন স্বেচ্ছাসেবীরা আমাদের সহযোগীতা করায় আমরা এখন সহজেই রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারছি।
হাসপাতারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মাহামুদুর রশিদ বলেন, হাসপাতালে নার্স-চিৎিসক সংকট থাকার পরও যাতে রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পায় সে লক্ষ্যে সেচ্ছসেবী বা ভলেনটিয়ার নিযোগ দেয়া হয়েছে। তারা সিপ্ট অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, আমরা চাচ্ছি মনপুরা হাসপাতাল কিশোরী, শিশু ও নারী বান্ধব হাসপাতালে পরিনত হয়।
সুত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে ৩১ শয্যা দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে হাসপাতালে ২টি মেডিকেল অফিস, ৪টি সিনিয়র নার্স, একজন উপ-মেডিকেল অফিসার, ২ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান, ২ জন ফার্মাসিস্ট, ২ জন অফিস সহকারী, ২ জন আয়া, নৈশ প্রহরি, ওয়ার্ড বয়, এমএলএসএসসহ ৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এতে চিকিৎসা কার্যক্রম অনেকটা ভেঙ্গে পড়েছে। ২০১৪ সালে হাসপাতালটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় কিন্তু মন্ত্রনালয়ের অনুমতি না থাকায় এখনও ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু হয়নি। বাড়ানো হয়নি জনবল। এ পরিস্তিতি সেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার অনেক উন্নয়ন হচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
0 Comments