6/recent/ticker-posts

ভোলার বোরহানউদ্দিনের উত্তরবাটামারা গ্রামের ঘুর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির গুলোর বেহাল দশা ॥ ----- সাহায্য প্রয়োজন



ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ॥

 ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের উত্তরবাটামরা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একমাত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রভুপাদ শ্রী শ্রী সর্বানন্দ গোষ¦ামীর সেবা-আশ্রমে শ্রী শ্রী রাধা গবিন্দ মন্দির, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষচারী মন্দির, শ্রী শ্রী শিব মন্দির, শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির, শ্রী শ্রী কালী মন্দির সহ ১০টি মন্দিরে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে থাকে। দুর্ভাগ্য রাষ্ট্রীয় বিপ্লবে অনেক হিন্দু জন্মভূমি ত্যাগ করেছেন। তদুপরী মেঘনার করাল গ্রাসে অনেকের বাড়ি ঘর বিলীন হয়ে গেছে। তারপরেও সর্বহারা হয়ে দুহাত তুলে চোখের জলে শিক্তকরে পরমেশ্বরের আরাধনা করছেন।

অর্থাভাবে জীর্ন-শীর্ন গৃহে বসবাস করছে। তাছাড়া অনাহারে অর্ধাহারে বেড়ীর পারে দিন কাটাচ্ছেন ভক্তরা। ২৫ শতাংশ জমি দান করেছেন সেবাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মানবের কল্যানে সনাতন মানব সেবা সংঘ প্রতিষ্ঠা করে মানবের কল্যানমুখী কাজ করে যাচ্ছেন। ঝরের আঘাতে ঝড়ে পরেছে মন্দির সমূহের গৃহ ভবন । অতিকষ্টে বর্তমানে প্রতিদিন ভক্তরা সেবা পূজা করছেন। লোকনাথ ব্রক্ষচারীর তিরোধান উৎসবের মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানে দেশী ও বিদেশী হাজার ভক্তবৃন্দের আগমন ঘটে প্রতিবছর। তাছাড়া প্রতিবছর বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হয় এসকল মন্দিরে।

মন্দির সমূহের নির্মানকল্পে সরকার ও সংসদ সদস্য সহ দাতা পক্ষ অনুদান প্রদান করিলে মন্দিরের গৃহনির্মান সহ সকল ধরনের সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছেন মন্দিরের ভক্ত বৃন্দরা।

এবিষয়ে, মন্দির সমূহ ও সনাতন মানব সেবা সংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্রভুপাদ শ্রী শ্রী সর্বানন্দ গোস্বামী (কান্তিলাল গাঙ্গুলি) বলেন সরকার মন্দিরের উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধ দিলে ও আমরা এ বরাদ্ধ পাচ্ছিনা। এ ব্যাপারে উপর মহলে আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা মন্দির গুলো আরো ভালো ভাবে পরিচালনা করতে পারব।


Post a Comment

0 Comments